আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
পর্তুগাল ইউরোপের মধ্যে বিগত বছরগুলোতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে এবং সেই কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পর্তুগিজ নাগরিকরা দায়িত্ব পেয়েছেন এবং সর্বোপরি সার্থকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন; কিন্তু করোনা মহামারী সবকিছুতেই বাধা সৃষ্টি করছে এবং খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী বাধ্য হয়ে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবন বিধি-নিষেধের আওতায় থাকলেও দেশব্যাপী তা শিথিল ছিল তবে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা বর্তমান করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধির আলোকে নতুন বিধিনিষেধ প্রবর্তন করেছেন; যা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
যদিও ইতোপূর্বে ৩০ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো দেশ নতুন ঝুঁকিতে প্রবেশ করবে এবং বিধি-নিষেধের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করেছেন-
১. সর্বোচ্চ ১০ জনের বেশি একত্রিত হওয়া নিষিদ্ধ;
২. বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সকাল ১০টা আগে খুলতে পারবে না;
৩. খোলা রাখার সময়সীমা রাত ৮ থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হবে কিনা, এ বিষয়টি কামারা মিউনিসিপালের (সিটি কর্পোরেশন) সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে;
৪. শপিং সেন্টার এবং এ সংক্রান্ত অঞ্চলে সর্বোচ্চ চারজন একত্র থাকতে পারবে;
৫. রাত ৮টা থেকে অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ (খাবারের টেবিলে ব্যতিক্রম);
৬ রাস্তা এবং পাবলিক প্লেসে অ্যালকোহল পান নিষিদ্ধ;
৭. রেস্টুরেন্ট, কফি, পেস্ট্রি শপে- স্কুল থেকে ৩০০ মিটার দূরত্বে, সর্বোচ্চ একসঙ্গে চারজনের গ্রুপ গ্রহণযোগ্য;
৮. খেলার মাঠে দর্শক ছাড়াই খেলা চলবে;
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম বাধ্যতামূলক করেছেন। বিদ্যালয়গুলোকে নতুন স্বাস্থ্যবিধির আলোকে সাজিয়ে নেয়া, প্রতিটি বিদ্যালয় জরুরি পরিকল্পনাসমূহ প্রবর্তন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বণ্টন, কেউ সংক্রমিত হলে বা সংক্রমিত সন্দেহ হলে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন।